১৮ জুলাই ২০২০, ২২:২০

তরুণ-তরুণীদের হাত ধরে করোনায় বসেছে জমজমাট মাদক ব্যবসা

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের মধ্যে অঘোষিত দখল নিয়ে রাজশাহী সীমান্তে চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসা। মাঝে মধ্যে পুলিশ, র‌্যাব ও সীমান্তরক্ষী বিজিবির অভিযানে মাদক পাচারকারী ও কারবারি ধরা পড়লেও মাদক পাচারের তুলনায় তা নগন্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিহ্নিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা জড়িয়ে তাদের ব্যবসাকে চাঙা করছেন।

মাদক জোন হিসেবে পরিচিত রাজশাহী নগরীর গুড়িপাড়ায় এখনো চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। মাদক সেবনে নগরীর বিভিন্ন এলাকার লোকজনের আনাগোনা আছে এলাকাটিতে। এখানে এখন হেরোইন ও ইয়াবার ব্যবসা জমজমাট। আর নগরীর তালাইমারী থেকে পূর্বে চারঘাট উপজেলার টাঙন পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর এলাকায় চলছে ইয়াবা-হেরোইন ও ফেনসিডিলের ব্যবসা।

কিছু এলাকায় বিক্রি হচ্ছে হেরোইন, ইয়াবা এবং গাঁজাও। তবে ফেনসিডিলই সবচেয়ে বেশি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রাজশাহীতে মোটরসাইকেল যোগে একাধিক ব্যক্তির আরোহী হওয়া নিষিদ্ধ থাকলেও পদ্মা নদীর পাড়জুড়ে এর কোনো বালাই নেই। সেখানে মোটরসাইকেল দাপিয়ে একসঙ্গে মাদক সেবনে যাচ্ছেন যুবকরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি নতুন করে উঠতি বয়সি তরুণ-তরুণীরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন রাতের আধাঁরে সশস্ত্র মাদক পাচারকারীরা অবাধে মাদক পাচার করে থাকেন।

রাজশাহীতে মাদক পাচার রোধে পুলিশ ও বিজিবি শক্ত অবস্থানে থাকলেও বিপরীতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ততটায় রয়েছে নরম অবস্থানে। মূলত তাদের ছত্রছায়ায় ভারতীয় মাদক পাচারকারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা রাতের আঁধারে পার করে বাংলাদেশ সীমানায় মাদক পৌঁছে দেয়ার কাজটি করে থাকে।

রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু বলেন, করোনার এই দুঃসময়ে মানুষ নিজেদের বাঁচাবে কীভাবে তা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও মাদক পাচারকারী ও ব্যবসায়ীরা রয়েছে বহাল তবিয়তে। রাতের আধাঁরে তারা অবাধে মাদক পাচার করে থাকে। প্রশাসনের অনেকে মাদক পাচার ও ব্যবসা করানোর কাজে জড়িত রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মাদক ব্যবসা ও মাদক পাচারের বিষয়ে রাজশাহী পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন,প্রতিদিনই মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। মাদকসহ মাদক পাচারকারী ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারও হচ্ছে এবং মামলাও হচ্ছে।