মডেলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, যুব মহিলা লীগ নেত্রীসহ গ্রেপ্তার ২
গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে পঞ্চগড়ে মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মডেল। এ ঘটনায় তিনি বোদা থানায় তিনজনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকী (৪৫) এবং প্রথম বাংলা টিভি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ নিউজ এটিডর ও গ্রাফিক ডিজাইনার সাজ্জাদ হোসেন মিলন (৩৩)।
পুলিশ গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। সেই সাথে ভুক্তভোগী মডেলকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি গ্রহণ ও ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার জন্য সাজ্জাদের আমন্ত্রণে ১৪ জুলাই সকালে পঞ্চগড়ের বোদায় পৌঁছায় ওই তরুণী। সাজ্জাদ তাকে প্রথমে নিয়ে যায় থানাপাড়ায় লাকীর বাড়িতে। সেখানে সাজ্জাদসহ ৪-৫ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে পৌরসভার ভাসাইনগরের এক বাড়িতে নিয়ে আবারও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। সেখান থেকে পালিয়ে ওই তরুণী ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় বোদা থানায় আশ্রয় নেন।
পরে রাতে ওই তরুণী তিনজনের নাম উল্লেখ এবং ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই সাজ্জাদ ও লাকীকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া বলেন, প্রধান দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর ডাক্তারী পরীক্ষা ও জবানবন্দী সম্পন্ন হয়েছে।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার সাথে পুরো একটি চক্র কাজ করেছে। আদালত আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আরও অনেক তথ্য বের করতে পারব। আমরা পুরো চক্রটিকেই বের করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।