কাঁদলেন সাহেদ, বললেন— আমি দেড় মাস ধরে করোনায় আক্রান্ত
জালিয়াতির অভিযোগে আটক রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোঃ সাহেদ ওরফে শাহেদ করিমকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর আগে পুলিশ সাহেদ ও রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনার পরিচালক মাসুদ পারভেজকে মুখ্য মহানগর হাকিমের উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন করে।
মোঃ শাহেদ ও মাসুদ পারভেজের আইনজীবী নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন, তারা জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু তা আদালত নামঞ্জুর করেছে। তিনি আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামী অসুস্থ ও তারা বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক। তাই তারা পালিয়ে যাবেনা। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তাধীন। এসব উল্লেখ করে আমরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেছিলাম।’
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী আবু আব্দুল্লাহ বলেন, অভিযুক্তরা করোনা ভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছেন। এমনকি বিদেশ থেকেও এজন্য অনেককে ফেরত আসতে হয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুরের অনুরোধ করেছেন তারা।
এসময় আদালতে কাঁদতে থাকেন সাহেদ। জানান, তিনি দেড় মাস ধরে করোনায় আক্রান্ত। আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আদালতে মো: শাহেদ বলেছেন যে, তিনি নিজেই করোনা রোগী। তিনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেই করেই কাজ করেছেন। তখন আমরা বলেছি, তিনি প্রতারণা করেছেন, ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।’
এর আগে মোঃ শাহেদ ও মাসুদ পারভেজকে হাতকড়া পরিয়ে ও কোমরে দড়ি দিয়ে বেধে সকালে ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে নেয়া হয়। এসময় তাদের মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছিলো। গত মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করেছিলো র্যাব। আদালত তাকেও দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
পরে বুধবার ভোরে সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। তিনি নৌকাযোগে নদী পার হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। নৌকায় ওঠার ঠিক আগ মূহুর্তে নদীর পাড় থেকেই তাকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিলেন র্যাব কর্মকর্তা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।
গ্রেফতারের পর তাকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় ও ঢাকার উত্তরায় তাকে নিয়ে একটি অভিযান চালায় র্যাব। পরে ব্রিফিংয়ে র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঢাকায় অভিযান চালিয়ে সাহেদের একটি অফিস থেকে তারা জাল টাকা উদ্ধার করেছেন।