১৬ জুলাই ২০২০, ১১:০৪

স্বামী আরিফকে সামনে দেখেই ক্ষেপে গেলেন ডা. সাবরিনা!

  © ফাইল ফটো

করোনা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীর মুখোমুখি করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে তাদেরকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফকে সামনে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা। এসময় তিনি আরিফকে বলেন, তার এমন পরিণতির জন্য আরিফ দায়ী। অপরদিকে আরিফ চৌধুরী চুপ থাকলেও পরে বলেছেন, সাবরিনার জন্যই করোনা টেস্টের কাজ নিয়েছিলেন তিনি। সব কিছুতেই তার হাত আছে।

এর আগে ভার্চুয়াল আদালতে আরিফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বিকেলে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মিন্টো রোডে নিয়ে আসা হয়।

মামলার তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ডিবির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ডা. সাবরিনা সব দোষ তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। এর আগে তেজগাঁও থানায় আরিফ সব দায় তার স্ত্রীর ওপর চাপিয়েছিলেন। দোষীদের শনাক্তে সব কিছু স্পষ্ট হওয়া দরকার। এ জন্যই আরিফকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন ডা. সাবরিনা।

তিনি বলেন, তাদের মুখোমুখি করে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখনই স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না, জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, সনদ জালিয়াতি নিয়ে জেকেজি ও মূল কোম্পানি ওভাল গ্রুপের সঙ্গে ডা. সাবরিনা তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করছেন না। অবশ্য প্রযুক্তিগত তদন্তে প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব দেখানো হলে সাবরিনা দাবি করছেন, আরিফ তাকে ফাঁসিয়েছেন। আর আরিফ জানিয়েছেন, তার কর্মচারীরা সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি সাবরিনার জ্ঞাতসারেই হয়েছে বলেও দাবি তার।

করোনা সনদ জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৩ জুন আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি তদন্তে চেয়ারম্যান হিসেবে কসনদ জালিয়াতিতে ডা. সাবরিনার নাম আসে। গত ১২ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১৩ জুলাই তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।