চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্র আটক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবিতে) মালি ও সুইপার নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বহস্পতিবার বিকেল তিনটায় বেরোবি পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই মুহিব্বুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- মিঠাপুকুরের চেংমারী এলাকার মৃত মো. আলীর ছেলে ওসমান গনি, দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার পশ্চিম গৌরী পাড়া এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে তানভির ওরফে রেজভি এবং একই এলাকার মৃত ওসমান মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানিয়েছে, মোজাহিদ ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে বেরোবিতে মালি পদে নিয়োগের কথা বলে প্রতারক চক্র টাকা নেওয়ার জন্য ডাকলে চাকুরি প্রত্যশী মোজাহিদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে কিনা জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে। এতে তারা জালিয়াত চক্রের সন্ধান সন্ধান পায় এবং পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে।
জানা যায়, বেরোবিতে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল মালি ও ক্লিনার সরবরাহের লক্ষ্যে গত ৪ মার্চ একটি দরপত্র আহবান করা হয় (স্মারক নং বেরোবি /রেজি:/আ: সো: জন/দরপত্র বিজ্ঞপ্তি /২০২০/৪২৫ তারিখ ০৮/০৩/২০২০) পরবর্তীতে করোনাজনিতে কারণে গত ২৩ মার্চ দরপত্রটি স্থগিত করা হয়। এর মধ্য গত ১৩ মে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল সরবারহের দরপত্র স্থগিত থাকলেও একটি প্রতারক চক্র ভুয়া কার্যাদেশ প্রস্তুত করে।
'নাসের ইন্টারন্যশনাল' নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে বেরোবিতে জনবল সরবরাহের কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রচার করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গত ১৪ মে তাজহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন, ডাইরি নং ৫৬১।
এসআই মুহিব্বুল ইসলাম জানান, চাকুরি প্রত্যাশী মোজাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রতারক চক্রের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে চক্রটিকে আটক করার জন্য পুলিশ ফাঁদ পাতে এবং বিকেল ৩ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চক্রটিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে একাধিক আইডি কার্ড ও মোবাইল সীম উদ্ধার করে।
এ চক্রটির সঙ্গে নাসের ইন্টারন্যশনালের কোন যোগাসাজশ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন তথ্য জানা যায় নি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে চক্রটি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে মালি ও ক্লিনার পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা করে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।