ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স করেও বেকার, হতাশায় যুবকের আত্মহত্যা
পাবনার সাঁথিয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে এনামুল হক সুইট (৩০) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দিবাগত গভীর রাতে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এনামুল উপজেলার আতাইকুলা থানার বামনডাঙ্গা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আতাউর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক সুইট পাবনা সরকারি এ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে প্রথমে বনগ্রাম হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালিন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে স্ত্রীসহ সে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। করোনাকালীন সময়ে এনামুলের চাকরি না থাকায় সে বাড়িতে চলে আসে। তার স্ত্রী পাবনা সদর হাসপাতালে সেবিকার চাকরিতে যোগদান করেন। ভালো কর্ম না থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বাবা, মা ও স্ত্রীর সাথে ভালো সম্পর্ক যাচ্ছিল না তার। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে নিজ ঘরের জানালার সাথে উড়না পেঁচিয়ে এনামুল হক আত্মহত্যা করে।
সুইটের বাবা আতাউর বলেন, রাতে খাবার খেয়ে সুইট নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে পরিবারের লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পায় সুইট দরজা আটকানো ঘরে গলায় ফাঁস দিয়েছে। সকালে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
আতাইকুলা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাস কুমার জানান, শুক্রবার সকাল ৭টায় পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেন।
আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আলম জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।