কুয়েতে কর্মী নিতে সাড়ে ৫৭ কোটি টাকা ঘুষ দেন সাংসদ পাপুল
ভিসা বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কর্মী নেওয়ার জন্য দেশটির সরকারের একজন আমলাসহ তিনজনকে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা (২১ লাখ দিনার) ঘুষ দিয়েছিলেন আটক সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে তিনি ঘুষ গ্রহণকারীদের নাম জানিয়েছেন। কুয়েতের ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমসের খবর।
সাংসদ পাপুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘুষ নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন, একজন কুয়েতের একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত, আরেকজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আমলা এবং অপরজন দেশটির এক নাগরিক।
সোমবার (১৫ জুন) তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দৈনিক আরব টাইমস জানিয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশের সাংসদ জানিয়েছেন, কুয়েতের এক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা তাঁর মালিকানাধীন ক্লিনিং কোম্পানিতে গিয়ে দেখা করেছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁদের এ বৈঠকের আগে কুয়েত সরকারের জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা বাংলাদেশের সাংসদকে স্থানীয় কর্মীদের ছুটিতে পাঠাতে বলেছিলেন। কারণ, ওই কর্মকর্তা চাননি কুয়েতের স্থানীয় লোকজন তাঁকে চিনে ফেলুক। তাই কুয়েতি কর্মকর্তার অনুরোধে বৈঠকের আগেই বাংলাদেশের সাংসদ তাঁর স্থানীয় কর্মীদের ছুটি দিয়ে দেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আটক সাংসদকে মদদ দিয়েছেন দেশটির অন্তত সাতজন বিশিষ্ট নাগরিক। ওই সাতজনের মধ্যে কুয়েতের সাবেক ও বর্তমান তিন সাংসদও রয়েছেন। লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে মদদদানকারীদের পরিচয় প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন কুয়েতের সাংসদেরা।
কুয়েতের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ (নাজাহা) জানিয়েছে, মানব পাচার নিয়ে বাংলাদেশের সাংসদের বিরুদ্ধে পাবলিক প্রসিকিউশন যে তদন্ত চালাচ্ছে, তা নিয়ে সংস্থাটি পরের ধাপের তদন্ত চালাবে।