১৪ জুন ২০২০, ১০:১৩

গ্রাম পুলিশের ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী

এবার গ্রাম পুলিশের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে এক স্কুলছাত্রী। ঘটনার পর তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ওই স্কুলছাত্রী। নওগাঁর বদলগাছীতে এই ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ বাবুল হোসেন ফেলু উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত এবং একই ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। গ্রাম পুলিশ বাবুল তার প্রতিবেশী সম্পর্কে চাচা হন।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্রীর পরিবারটি গরিব। আর এ সুযোগে ভুক্তভোগীকে প্রতিবেশী গ্রাম পুলিশ বাবুল হোসেন ফেলু বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকার ধর্ষণ করেন। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এদিকে গর্ভধারণের পর স্কুলছাত্রী বিয়ের কথা বললে কোনো সাড়া দিতেন না বাবুল।

১১ জুন বিয়ে করবে বলে তাকে জয়পুরহাট জেলায় নিয়ে যান বাবুল। সেখান এক বাড়িতে হাতুড়ে চিকিৎসকের দ্বারা তার গর্ভপাত করান। ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং মীমাংসার জন্য চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্ত। এরপরও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

পরে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় সালেম মোহাম্মদ, আজিজার এবং অভিযুক্তের বড় ভাই সাইদুল হোসেন মেলেটারি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সমঝোতার জন্য প্রস্তাব দেন বলে জানা যায়। কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিবার সমঝোতা মানতে নারাজ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ বাবুল হোসেন ফেলু এলাকায় নেই।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে জানায়, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন প্রতিবেশী বাবুল হোসেন ফেলু। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বিয়ের জন্য তাকে বার বার বলার পরও কোনো সাড়া মিলত না। অবশেষে গর্ভের সন্তান নষ্ট করলে তাকে বিয়ে করবে বলে জানানো হয়। ১১ জুন জয়পুরহাট জেলায় এক হাতুড়ে ডাক্তারের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার (১২ জনু) গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়। কিন্তু এখন আর বিয়ে করেত চাচ্ছে না বাবুল। উল্টো বিভিন্নভাবে তার পরিবার হুমকি দিচ্ছে।

অভিযুক্তের বড় ভাই সাইদুল হোসেন মেলেটারি বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার ভাইকে ফাঁসানো হচ্ছে। কিছু টাকা নেয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে গুজব রটানো হচ্ছে।

পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ওই গ্রাম পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা জানা নেই। তবে আরো কয়েকজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে শুনেছি। ওই গ্রাম পুলিশ যদি জড়িত থাকে তাহলে পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধূরী জোবায়ের আহম্মদ বলেন, শনিবার (১২ জুন) রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে বাবুল হোসেন ফেলুকে আসামি করে মামলা করেছেন।