হাটু দিয়ে আঘাত করে হত্যার ঘটনায় পুলিশের সেই এএসআই গ্রেফতার
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চাঞ্চল্যকর নিখিল তালুকদার হত্যা মামলায় পুলিশের এএসআই শামীম হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (৮ জুন) রাতে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাতে নিহতের ছোট ভাই মন্টু তালুকদার এএসআই শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মো. রেজাউলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আসামি শামীম হাসান ও রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সোমবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান শেখ লুৎফর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন সেখানকার রামশীল বাজারে নিখিলসহ চারজন তাস খেলছিল। ওই সময় শামীম হাসান একজন ভ্যানচালক ও সোর্স মো. রেজাউলকে নিয়ে সেখানে যান। আড়ালে দাঁড়িয়ে তাস খেলার দৃশ্য ধারণ করেন। তখন ওই চার ব্যক্তি দেখতে পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তিনজন পালিয়ে গেলেও নিখিলকে শামীম হাসান ধরে ফেলে এবং মারপিট করতে থাকে।
একপর্যায়ে হাঁটু দিয়ে মেরুদণ্ডে আঘাত করলে নিখিলের মেরুদণ্ড তিন খণ্ড হয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলাম খানকে প্রধান করে তিন সদস্যের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ নিয়ে মীমাংসা বৈঠক হয়। বৈঠকে নিখিলের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং তার স্ত্রী ইতি তালুকদার ও ছোট ভাই মন্টু তালুকদারকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেন সংশ্লিষ্টরা।