০৩ জুন ২০২০, ০৯:০৬

মানত করে ৮০ লাখ টাকা চুরি, সফল হওয়ায় মসজিদে পরিশোধ!

  © প্রতীকী ছবি

মানত করে ৮০ লাখ টাকা চুরি করতে সফল হওয়ায় মসজিদে এক লাখ টাকা পরিশোধ করেছে একটি চোর চক্র। ঢাকার ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি শাখায় এমন ঘটনা ঘটেছে। চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এভাবে চুরি করে থাকে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়। দক্ষিণ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. সাইফুর রহমান এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

ডিবি পুলিশ জানায়, গত ১০ মে ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি গাড়ি থেকে ৮০ লাখ টাকা চুরি হয়। ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নিকট থেকে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পাওয়া গেছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র।কিশোরগঞ্জ ও শরীয়তপুরসহ রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা ব্রিফকেস হান্নান, তার চতুর্থ স্ত্রী পারভীন, শ্যালক আলমগীর এবং সহযোগী মোস্তফা ও মো. বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ব্রিফকেস হান্নান মানত করে বড় অঙ্কের টাকা চুরি করতে পারলে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে একলাখ টাকা দেবেন। ১৫ রমজানে সফল হয় তারা। ন্যাশনাল ব্যাংকের ইসলামপুর শাখার সামনে গাড়ি থেকে ৮০ লাখ টাকা চুরি করে তারা। এরমধ্যে ২০ লাখ টাকা মামলার উকিল ফি, ঋণ পরিশোধ, নেশা ও মানত দিয়ে খরচ করে।

পরে হান্নানের স্ত্রী পারভীনের স্বীকারোক্তিতে ধোলাইপাড়ের ভাড়া বাসা থেকে বাকি ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড ও গাড়ি চালকের অবহেলায় ওই টাকা চুরি হয়।

অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, হান্নান ও তার সহযোগীরা টানা পার্টির সদস্য। এর আগেও তারা এমন কাজ করেছে। ১০ মে দুপুরে একজন সিকিউরিটি গার্ড ও চালক গাড়িতে ছিল। ওই সুযোগে হান্নান ও তার সহযোগীরা তাদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তোলে।

একপর্যাায়ে তারা গাড়ির চালককে ওপরে পাঠায়। তখন সিকিউরিটি গার্ডকে তারা অন্যমনস্ক রাখে। আর হান্নান টাকার বস্তা নিয়ে রিকশা নিয়ে আরমানিটোলায় চলে যায়। পরবর্তীতে সহযোগীদের সবাইকে ২৫ হাজার করে টাকা দিয়ে বাকিটা নিজের কাছে রেখে দেয়।

তিনি বলেন, ‘ব্রিফকেস হান্নানের চার স্ত্রী। তবে ছোট স্ত্রী পারভীনের সঙ্গে থাকে। সেও টানা পার্টির গ্রুপ চালাতো। ব্রিফকেস হান্নানের বিরুদ্ধে অন্তত ৫০টি মামলা রয়েছে। টাকা চুরি গেলে ন্যাশনাল ব্যাংক একটি মামলা করে। এরপর ওই গাড়ির চালক, ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা ও দুই নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা কারাগারে থাকলেও চুরির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা মেলেনি।