ঈদ রাতে কলেজছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, কৌশলে বাঁচল স্কুলছাত্রী

  © প্রতীকী ছবি

ঈদের দিন রাতে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক কলেজছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ সময় এক স্কুলছাত্রীকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়, তবে কৌশলে বেঁচে যায় সে। পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। তারা হলেন- চরপাড়া গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে শুকুর আলী, মকবুল খন্দকারের ছেলে রেজাউল করিম ও শাহজাহান আলীর ছেলে ইসরাইল হোসেন। এ ঘটনায় জড়িত জামাল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন পলাতক রয়েছেন।

সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই কলেজছাত্রী (১৭) ও এক স্কুলছাত্রী (১২) বাড়ির পাশেই আরেক বাড়ি থেকে ঝাড়ফুঁক নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে ফাঁকা রাস্তায় শুকুরসহ অন্য ৪ জন ওই দুই মেয়েকে মুখ চেপে ধরে পাশের পাট খেতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা কলেজ পড়ুয়া মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তাদের চিৎকারে লোকজন বেরিয়ে এসে ৩ জনকে আটক করে। এ সময় একজন পালিয়ে যায়।

চাটমোহর থানা সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী ও সঙ্গে থাকা স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি গ্রহণ করে। মঙ্গলবার (২৬ মে) ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ২ জনকেই পাবনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

আটকদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা হয়েছে বলে জানান চাটমোহর থানার ওসি শেখ মো. নাসীর উদ্দিন। চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এটা গণধর্ষণের ঘটনা। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ