নিখোঁজের ৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল শিশুর লাশ
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ উপজেলায় রাহিমা আক্তার (১৮ মাস) নামে এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার ৫দিন পর বাড়ির পাশে পুরোনো সেপটিক ট্যাংকে লাশ পাওয়া গেছে। গত ৫ মে সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর থানার পূর্ব রাজাপুর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। সব জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে সেদিনই চন্দ্রগঞ্জ থানার সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন নিখোঁজের পরিবার।
আজ শনিবার (০৯ মে) ভোর সাড়ে ৬টার সময় নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর বাবা ফয়েজ আহম্মদ বাড়ির পাশের পুরনো টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন মোবাইল ফোনে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দেড় বছর বয়সী কন্যা শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অপহরনের পর (২-৩ দিন আগে) শিশুটিকে হত্যা করে বাড়ির পিছনের পুরনো টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে হত্যার কারণ জানা যাবে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত রাহিমা আক্তার গত সোমবার (০৫ মে) দুপুরে নিজ বাড়ীর সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। গভীর রাত পর্যন্ত সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। পরে নিখোঁজের বাবা ফয়েজ আহম্মদ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
শিশুটির মামা মো. ইসমাইল হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, তার ভগ্নিপতিদের সাথে আশেপাশের কারো তেমন কোন শত্রুতা নেই। কে বা কারা এতটুকু বাচ্চার সাথে নির্মম এই কাজ করতে পারে তারা অনুমান করতে পারছেনা। ঘটনার পর শিশুটির পরিবারের সবাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায় এখনো (শনিবার দুপুর পর্যন্ত) থানায় মামলা করা হয়নি। তবে অজ্ঞাতদের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।