০৬ মে ২০২০, ২২:০৮

ডাকাতদের আস্তানায় মিলল পুলিশ-বিজিবির পোশাক, আগ্নেয়াস্ত্র

  © সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের পাহাড়কেন্দ্রিক অপরাধী চক্রগুলো ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ডাকাতি ও অপহরণ কর্ম অব্যাহত রাখতে তারা ব্যবহার করছে পুলিশ-বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক। এছাড়া মজুদ করছে বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র।

আজ বুধবার (৬ মে) টেকনাফের হ্নীলা রঙিখালির পাহাড়ে অভিযান চালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় তাদের আস্তানা থেকে এ ধরণের আলামত মিলেছে।

ডাকাত দলের আস্তানা থেকে পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবল পর্যায়ের ১০ সেট ও বিজিবির নানা র‌্যাংধারী তিন সেট পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ। সঙ্গে ৫৬ হাজার ইয়াবা, ১৮টি দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও রাইফেল এবং পিস্তলের গুলিসহ ২২৪ পিস তাজা কার্তুজ জব্দ করেছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিসি জানান, ‘বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রঙ্গীখালির গাজিপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ে ডাকাত ও ইয়াবাকারবারিরা জড়ো হয়েছে বলে জানতে পারেন তারা। পরে ডাকাতের আস্তানায় পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।

ডাকাত দলের সদস্যরা উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে তিনজনককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহতরা হলেন- রঙ্গীখালীর জুম্মাপাড়ার মৃত আবদুল মজিদ ওরফে ভোলাইয়া বৈদ্যের দুই ছেলে সৈয়দ আলম (৩৬) ও নুরুল আলম (৩৭) এবং একই এলাকার ছব্বির আহমদের ছেলে আবদুল মোনাফ ওরফে মনাইয়া (২২)।

বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই মশিউর রহমান, এএসআই সনজিব দত্ত ও এএসআই মিঠুন কুমার ভৌমিক আহত হন। ওসি জানান, ডাকাতদের আস্তানা থেকে ৫টি দেশীয় একনলা বন্দুক, দু’টি থ্রী কোয়ার্টার, ১০টি দেশীয় এলজি, একটি বিদেশি পিস্তলসহ ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া ২০৫ রাউন্ড কার্তুজ, ১১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, আট রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ৭৫ পিস গুলোর খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। সাথে পাওয়া গেছে ১০ সেট পুলিশের এবং তিনসেট বিজিবির পোশাক। ৫৬ হাজার পিস ইয়াবাও পাওয়া গেছে সেখানে।