ধর্ষণের পর নিস্তেজ স্কুলছাত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে সুলতান

নেত্রকোনার বারহাট্টায় রায়পুর ইউনিয়নের প্রাইমারী স্কুলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার ঘটনায় সুলতান মিয়া (২৬) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। পরবর্তীতে আসামী সুলতান মিয়াকে কোর্টে প্রেরণ করে পুলিশ। পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী জানিয়েছেন, আটক সুলতান জবানবন্দীতে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

ধর্ষক সুলতান ওই ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। আর ধর্ষণের শিকার পঞ্চম শ্রেণীর ওই স্কুলছাত্রীর নাম মনি আক্তার।

পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম জানান, গত ৩০ এপ্রিল সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামের মান্না মিয়ার মেয়ে মনি আক্তার প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়তে যায় ন্যাপারা গ্রামের তালেব মাস্টারের বাড়িতে।

ওই শিক্ষকের বাড়ির কাছাকাছিই সুলতানের বাড়ি। সে প্রতিদিন লক্ষ্য করতো মনি আক্তারকে। ওইদিন প্রাইভেট থেকে ফেরার পথে ওঁত পেতে থাকা সুলতান মেয়েটিকে কৌশলে ঘরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে গলা টিপে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে দিনভর ঘরে ফেলে রেখে রাতে বাড়ির অদূরে জঙ্গলে হাত পা বাধা অবস্থায় ফেলে রাখে।

এদিকে মনির পরিবার খুঁজতে থাকে মেয়েকে। পরদিন (১ মে) সকালে নয়াপড়া মান্দারতলা গ্রামের জঙ্গলে লাশ দেখেতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এরই মধ্যে মনির বাবা মা এসে লাশ দেখে মেয়েকে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ২ মে বারহাট্টা থানায় মামলা দায়ের করেন।

গত কয়েকদিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুলতানকে তার শ্বশুরবাড়ি বাউসি এলাকা থেকে আটক করে। আসামী এমন আরও বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে দীর্ঘদিন। মনি ৩৫ নং পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো।

পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী বলেন, ফরেনসিক রিপোর্ট এবং জবানবন্দী অনুযায়ীই এমন লোমহর্ষক ঘটনার সাজা নিশ্চিত করা যায়। আমরা সেভাবেই সকল তথ্য উপাত্ত প্রমাণ রেখেছি। যা আদালতে প্রেরণ করবো। পুলিশের প্রতি সকল মানুষকে তিনি আস্থা রাখার জন্য অনুরোধ জানান।