চাল আত্মসাৎ, ৪ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৫ সদস্যকে বহিষ্কার

ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও চাল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজন ইউপি চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এ আদেশ জারি করে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তারা করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল অথবা ভিজিডির চাল অথবা জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য দেওয়া খাদ্যশস্য আত্মসাতের কারণে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশে তাদেরকে কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তার জবাব ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগে এর জবাব পাঠাতে বলা হয়।

বহিষ্কার হওয়া ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন, পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কোরবান আলী, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার এক নম্বর আন্ধারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম।

এ ছাড়া বহিষ্কার হওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন, কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুল মান্নান মোল্লা, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সেকান্দার মিয়া, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোহেল মিয়া, ভোলার লালমোহন উপজেলার এক নম্বর বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুহাম্মদ ওমর এবং ওই ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জুয়েল মিয়া।