১১ মার্চ ২০২০, ০৮:২৯

পপুলারের অবহেলা, ঢাবি কর্মকর্তার গর্ভবতী বোনের মৃত্যু!

স্ত্রী সাদিয়া ইসলামের মৃত্যুসংবাদ শুনে স্বামীর আহাজারি  © সংগৃহীত

রাজধানীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অবহেলার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার গর্ভবতী বোনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত সাদিয়া ইসলাম নুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার সারোয়ার হোসেনের বোন। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রোগীর স্বজনরা ও ঢাবির শিক্ষার্থী উত্তেজিত হলে পুলিশ এসে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ নেয়।

জানা গেছে, গত রোববার (৮ মার্চ) রোগী সাদিয়া ইসলাম নুপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলমের পপুলারের চেম্বারে যান। সেখানে ডাক্তার তাকে অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টের ওষুধ দিয়ে বাড়িতে বিশ্রামে থাকতে বলেন। এতেই রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। পরে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকেলে অবস্থা খারাপ হলে তাকে পুনরায় ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হলে সিরিয়াল না পাওয়ায় ডাক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যাচ্ছিল না। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থা হলে রোগীর স্বজনদের তৎপরতায় ডাক্তার দেখে হিমোগ্লোবিন কমে গেছে উল্লেখ করে ইমার্জেন্সীতে নিতে বলেন। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসক না থাকায় রোগীর মৃত্যু ঘটে।

স্ত্রী সাদিয়া ইসলামের মৃত্যুসংবাদ শুনে স্বামীর আহাজারি

রোগীর ভাই সরোয়ার হোসেন বলেন, আমার সাদিয়া ইসলাম নুপুর ১৫ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। তার হিমোগ্লোবিন কমে গেছে সেটা বলার পর রোগীকে ইমার্জেন্সীতে নেওয়ার কথা বলে ডাক্তার। কিন্তু তখনো অন্য রোগী দেখছিলেন তিনি। যখন ইমার্জেন্সীতে আনা হয় তখন আমাদের বলছে অক্সিজেন মাস্ক দেন। তাদের কিছুই নাই। ইমার্জেন্সী ওয়ার্ডের সামনেই মারা গেছে। চিকিৎসকদের অজ্ঞতা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা দুই কারণে আমার বোন মারা গেছে।

এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, রাত ৮টার দিকে পপুলারে এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার স্বজনরা হট্টগোল করেছে বলে জানতে পারেন তিনি। স্বজনদের দাবি হচ্ছে, চিকিৎসকদের ভুলের কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এরকম সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাস্থলে যাই, এখনো ঘটনাস্থলে আছি।

তিনি আরো জানান, মৃত নারীর স্বজনদের বারবার করে অনুরোধ করেছি আপনারা মামলা দেন, কিন্তু উনারা মামলা দিতে ইচ্ছুক নন। মামলা দিলেই আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিব।