ছাত্রলীগ নেতা হত্যার আরও দুই আসামি অস্ত্রসহ গ্রেফতার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্যাপুর বাজারে শিবিরের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন (২৫) হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি রিফাত (২৩) ও অন্যতম সদস্য ইউসুফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
র্যাব-১১ লক্ষীপুর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার আবু ছালেহ ও মহিতুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা বেগমগঞ্জ উপজেলা কৃষ্ণনারায়ানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৫নং আসামি রিফাতকে গ্রেফতার করে। এসময় ইউসুফের কাছ থেকে দুটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৫০ পিস ইয়াবা ও আতঙ্ক সৃষ্টির দুটি রেড ফায়ার রকেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রিফাত কৃষ্ণনারায়নপুর গ্রামের নতুন পীরের বাড়ির মৃত বেলালের ছেলে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, শিবির ক্যাডার পিয়াসের অন্যতম সহযোগী ইউসুফকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এসময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, এলাকায় তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে নিহত রাকিব হোসেনের মা ২৫ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী উত্তর জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ পত্রে জানানো হয়, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাহপুর বাজারে সহিংস ঘটনার পেছনে শিবির বিন্দুমাত্র জড়িত নয়। আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রশিবিরকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে এ অপবাদ দেয়া হচ্ছে। এবং অন্যায় ভাবে বন্ধুকযুদ্ধের নামে মেধাবী শিক্ষার্থী হাফেজ নজরুল ইসলাম হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে।
উল্লেখ, গত রবিবার (১ মার্চ) আমান উল্যাহ্ পুর বাজারে রাত ৮ টার দিকে একদল সন্ত্রাসী রাতে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে উপস্তিত লোকজন চারিদিক ছুটোছুটি করে। এর মধ্যে সন্ত্রাসীদের কয়েকজন দোকানে ঢুকে কুপিয়ে আহত করে ছাত্রলীগের কর্মীদের। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাকিব নামের এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়।