০২ মার্চ ২০২০, ০৯:০৩

এসএসসি পরীক্ষার্থীর রগ কেটে দিল সহপাঠীরা

  © সংগৃহীত

পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাদারীপুরে তারেক মাহমুদ (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে অপর পরীক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ওই যুবককে গুরুতর আহত হলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রবিবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ‘খাশেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের’ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার খাশেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ওই পরীক্ষায় অংশ নেয় তারেক সরদার। পরীক্ষা শেষে দুপুরে তারেক রুম থেকে বের হয়। এ সময় তার সহপাঠী ও পরীক্ষার্থী ইরান, ফুয়াদের নেতৃত্বে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারেক সরদারের বাম পা ও হাতের রগ কেটে দেয়। বিষয়টি দেখে স্থানীয়রা তারেককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।

আহত পরীক্ষার্থীর বাবা জাকির সরদার বলেন, প্রভাবশালী বাবুল আকনের নির্দেশে তার ভাতিজা ইরান ও ফুয়াদ মিলে বিনা-কারণে আমার ছেলের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই।

অভিযুক্ত বাবুল আকন বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্ররা-ছাত্ররা মারামারি করেছে। আমার নির্দেশে করা হয়েছে এ কথা মিথ্যা ও অপপ্রচার মাত্র।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল বিধান মো. সানাউল্লা জানান, তারেকের হাতে ও পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রগ কেটে ফেলা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায়, তাকে ঢামেক রেফার করা হয়েছে।

খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা (আইসি) মো. আল আমিন বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোন প্রকার অবহিত না করে এসএসসি পরীক্ষা নিয়েছেন। আমাদের জানালে হয়তো এ ঘটনা নাও ঘটতে পারত।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মো. নাসিরউদ্দিন মৃধা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি শান্ত আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আসলে অনাকাঙ্ক্ষিত।