মজনুর বিচরণ এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পেলেন বন্ধু মাসুদ
কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মজনু। ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ওয়াগন ও অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘরে থাকতেন তিনি। সেখানে চলত দেহব্যবসা, সঙ্গে মাদকের কেনাবেচা। ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার পর আইন শৃঙ্খলাবাহিনী এসব উচ্ছেদ করে।
আর এখন ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে কুড়িল পর্যন্ত রেললাইনের আশপাশে মজনুর বিচরণ এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছেন ধর্ষক মজনুর বন্ধু মাসুদ! ফলে একমাস পরেই সেই আগের দৃশ্য চলে এসেছে। বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঠিক আগের সব জায়গায় একটু গোপনে আবারও শুরু হয়েছে দেহব্যবসা, সঙ্গে মাদকের কেনাবেচা। ঘুরেফিরে আবারও অনিরাপদ বনানী থেকে কুড়িলের সে রাস্তা।
ধর্ষক মজনু গ্রেপ্তারের পর সাঁড়াশি অভিযানে অনেকেই সটকে পড়ে। সে এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যাকে, সে আবার মজনুর বন্ধু। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দেখা নেই টহল পুলিশেরও। পাথচারি নিরাপত্তায় ঢাকঢোল পিটিয়ে নেয়া শক্ত পদক্ষেপের পাশাপাশি নিয়মিত নজরদারির পরামর্শ নগরবাসীর।
যদিও পুলিশের দাবি তিন থানার সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে আলাদা টিম। সাঁড়াশি অভিযানে উচ্ছ্বেদ করা হয়েছে সব।
গত ৫ জানুয়ারি ঢাবির ওই ছাত্রী শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার হন। এর কয়েক ঘণ্টা পর চেতনা ফিরে পেয়ে ওই বান্ধবীর বাসায় যান তিনি। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।