বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণের শিকার হওয়া এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সে চারঘাটের মাড়িয়া গ্রামের মারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ধর্ষক জামিরুল ইসলাম জয় পুঠিয়ার বানেশ্বরের বালিয়াঘাট এলাকার আসলাম উদ্দিনের ছেলে।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, রাজশাহী কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জামিউল ইসলাম জয় তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরের একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের পর মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু জামিউল তাতে অস্বীকার করে তাকে ফিরিয়ে দেয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফেরার সময় লাঞ্ছনা সইতে না পেরে রাগে-ক্ষোভে সে বানেশ্বর থেকে বাড়ি চলে যায়। এর পর ওইদিন বিকেলেই মেয়েটি সবার অগোচরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তার ঘর থেকে কীটনাশকের বোতল পাওয়া যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার মৃত্যু হয়।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, ঘটনাটি জানার পরে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এলাকায়। ধর্ষক জয়কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।