০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৫৩

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ

  © প্রতিকী ছবি

সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করল চার যুবক! এমনটাই অভিযোগ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পর্ণশ্রী থানা এলাকার ১২ বছরের কিশোরীর। ছাত্রীর অভিযোগ পেয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত যুবকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে তারা।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই কিশোরী নিজেই হাজির হয় পর্ণশ্রী থানায়। সেখানে গিয়ে সে জানায়, তাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করেছে চার যুবক। তার আগের রাতেই নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই কিশোরীর বাবা।

একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী কিশোরীর বাবা, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে সন্ধ্যায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছিলেন। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি।

এ দিন সকালে ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সে মোমিনপুর এলাকায়। সেখান থেকে তার বন্ধু ভূকৈলাশ রোডে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় তাকে। সেখানে উপস্থিত ছিল আরও তিন যুবক।

অভিযোগ, সেখানে ওই চার যুবক তাকে জোর করে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে দেয়। পর দিন সকালে তার সংজ্ঞা ফিরলে সে বুঝতে পারে, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

কিশোরীর অভিযোগ পেয়েই পর্ণশ্রী থানার পুলিশ একটি ‘জিরো’ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। বিকেলের মধ্যেই পর্ণশ্রী, একবালপুর এবং দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশকে নিয়ে তৈরি যৌথ তদন্তকারী দল চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে।

যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুর থানা এলাকায়, তাই পর্ণশ্রী থানার ‘জিরো’ এফআইআরের ভিত্তিতে একবালপুরে পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেসেন্স) আইনে গনধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার অভিযুক্তের মধ্যে অমরজিৎ চৌপাল এবং মনোজ শর্মা পর্ণশ্রী এলাকার বাসিন্দা। বাকি দু’জন বিকাশ মল্লিক এবং ঋত্ত্বিক রাম একবালপুরের।

পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের জেরা করে জানা গিয়েছে, অমরদীপ এবং মনোজের বাড়ি কিশোরীর স্কুলের কাছে। সেই সূত্রেই কিশোরীর সঙ্গে তাদের পরিচয়। সেই আলাপের সূত্র ধরেই কিশোরী একবালপুর এলাকায় গিয়েছিল বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা।

এক তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তাদের বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। ঠিক কীভাবে ওই কিশোরী ঘটনাস্থলে পৌঁছল তা-ও দেখা হচ্ছে।’ সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। খবর: আনন্দবাজার।