কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিদ্ধ ১৩
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের একটি রোহিঙ্গা শিবিরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের ওই ঘটনায় ১৩ জন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নয়াপাড়া ক্যাম্পের ‘ই’ ও ‘সি’ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রয়েছেন, ‘ই’ ব্লকের শওকত (১৯), হাসান (২৮), জিয়াদুল (১২), ‘সি’ ব্লকের বশির আহমেদ (৩২), হোসেন (২৩), ফারুক (৮), জুবায়ের (১৮), ‘বি’ ব্লকের আবুল হোসেন (২২) এবং ক্যাম্প-২৬ এ-১ এর আব্দুল গনী (২৪), আবদুল আজীজ (২৩)।
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধ নয় জনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে তাদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, জকির ও আমান উল্লাহর নেতৃত্বে রাতে একদল ডাকাত ‘ই’ ব্লকের কাপড় ব্যবসায়ী নুর নবীর কাছে চাঁদা দাবি করতে যায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় রোহিঙ্গারা ডাকাত দলকে ঘেরাও করে।
একপর্যায়ে জকির গ্রুপের প্রতিপক্ষ সালমান শাহ গ্রুপ ও খাইরুল গ্রুপ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জাকির গ্রুপ গুলিবর্ষণ করতে থাকে। তারা অন্তত ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি করে। এতে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গেছে।
আহতদের নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নয় জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাকি চার জন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। পরে খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডাকাতদের আটকের জন্য পুলিশ ও র্যাবের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।