স্কুলকক্ষে রক্তমাখা মুঠোফোন, শিক্ষক নিখোঁজ
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক সুলতানুজ্জামান হেলাল (৫০) নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক এবং উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বাঐজান গ্রামের মৃত হাসান আলী মণ্ডলের ছেলে।
জানা যায়, নিহতের অফিস কক্ষে রক্তমাখা মুঠোফোন ও মেঝেতে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে হত্যা করে তাঁর লাশ গুম করা হয়েছে বলে স্বজনদের ধারণা।
স্বজন ও স্থানীয়দের সুত্রে আরও জানা যায়, সুলতানুজ্জামান আগে অপর একটি কিন্ডার গার্টেনে চাকরি করতেন। পরে নিজেই এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করছিলেন। এ নিয়ে আগের স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল।
সুলতানুজ্জামানের বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সুলতানুজ্জামান ধনবাড়ী পৌর এলাকার নলহরা বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে কিছু কেনাকাটা করেন। পরে ওই বাজারে বিষ্ণু নামের এক ব্যক্তির সেলুনের সামনে তাঁর মোটরসাইকেল রেখে চা খেতে যান। দীর্ঘ সময় চলে যাওয়ায় পরও তিনি ফিরে না এলে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বিষ্ণু। কিন্তু তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তিনি বিষয়টি সুলতানুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের জানান। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সুলতানুজ্জামানের স্কুলে যান। তাঁরা স্কুলের অফিস কক্ষের মেঝেতে বিভিন্ন স্থানে রক্তের চিহ্ন দেখতে পান। সেখানে সুলতানুজ্জামানের মুঠোফোনটি রক্তমাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে ধনবাড়ী থানা-পুলিশের একটি দল রাত ১২টার দিকে আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুলে যায়। তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
ধনবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতে এবং শুক্রবার সাকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই স্কুলের অফিস কক্ষে ফোঁটা ফোঁটা রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। তাঁকে হত্যা করে গুম করার ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রক্তমাখা মুঠোফোনটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনায় সুলতানুজ্জামানের শ্বশুর মজিবর রহমান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।