স্কুলছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যায় ৮ জনের ফাঁসি বহাল
লক্ষ্মীপুরের স্কুলছাত্রী সীমা হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামিকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসাইন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ফাঁসির আদেশ বহাল থাকা আসামিরা হলেন- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হিরণ (২৪) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দহরপাড়া গ্রামের মানিক (৩০), তালিতপুর গ্রামের রাশেদ (২৫), রুদ্রপুর গ্রামের সুমন (২০)সুধারামের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের হেদায়েত উল্যা হেদু (৫০), চাটখিল উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের নুরনবী (২৭), সোনাইমুড়ি উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন ওরফে রুবেল (১৯) ও লক্ষ্মীপুর সদরের শ্রীরামপুর গ্রামের নুর আলম ওরফে নুরু (২২)।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এসএম শফিকুল ইসলাম ও মো. হাফিজুর রহমান। রাষ্টপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৮ জুলাই দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার বসুদহিতা গ্রামের লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথের বাড়িতে মুখোশ পরা ১৪-১৫ জন ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতেরা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় লক্ষ্মণের মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সীমাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে গণধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন সীমার ভাই কৃষ্ণ লাল দেবনাথ অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ পুলিশ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।