শিশু ছাত্রী সামিয়া হত্যার বিচার চাইলেন বড় বোন
রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মা ধর্ষণ ও খুনের বিচার চাইলেন বড় বোন ফারজানা ইয়াসমিন। আদালতে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আদরের বোন সায়মার খুনের বিচার চাই। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্য দেন ফারজানা।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি সায়মার বাবা আবদুস সালামও আদালতে কেঁদে কেঁদে মেয়ে হত্যার বিচার চেয়েছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি মা সাক্ষ্য দেন। এবার সাক্ষ্য দিলেন বোন। সঙ্গে প্রতিবেশি ফরহাদ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে আজ পর্যন্ত সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। বিচারক কাজী আবদুল হান্নান আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
গত ২ জানুয়ারি একমাত্র আসামি হারুণ অর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে গত বছর ৫ নভেম্বর হারুনকে আসামি করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারী জোনাল টিম (নিরস্ত্র) মো. আরজুন চার্জশিট দেন।
এর আগে গত বছর ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর ওয়ারীর একটি বাড়ির ৯ তলায় শিশু সায়মার লাশ পাওয়া যায়। ওই বাড়ির ৬ষ্ঠ তলায় সায়মা তার পরিবারের সঙ্গে থাকতো। লাশ পাওয়ার আগে সে তার মাকে ওপরের তলায় খেলতে যাচ্ছিল বলে জানায়। কিন্তু সে ফিরে না আসায় তাঁর খোঁজ করতে করতে নবম তলায় তার গলায় রশি পেচানো অবস্থা পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় সায়মার বাবা আবদুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা করেন। পুলিশ গত বছর ৭ জুলাই কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন হারুন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়ে সায়মাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।