ধর্ষণের পর লাইভে উল্লাস করা সেই চার ধর্ষক কারাগারে
গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মদিন উদ্যাপনের কথা বলে ডেকে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণকারী চার বন্ধুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আসামিরা হলেন, শরীফ হোসেন (১৮), ইমরান হাসান সুজন (১৯), আহসান ওরফে হাসান (১৮) ও শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০)।
রোববার বিকেলে গাজীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২৮ জানুয়ারি রিমান্ডের আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মীর রকিবুল ইসলাম জানান, ধর্ষণ মামলার চার আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে বিকেলে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ এবং আগামী ২৮ জানুয়ারি রিমান্ড শুনানির দিন ধার্ষ করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি জন্মদিন উদ্যাপনের কথা বলে শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুরের একটি বাসায় ওই কিশোরীকে তারা ডেকে নেয়। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে কিশোরীকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কোমলপানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করায়। পরে ওই চার বন্ধু ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। ঘটনাটি ভিকটিম তার পরিবারের অন্যদের কাছে প্রকাশ করতে গেলে গণধর্ষণকারীরা তাকে ভয়-ভীতি দেখায় এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত চার বন্ধু ফেসবুক লাইভে যায়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, তাদের একজন হাসতে হাসতে বলছে, ‘হ্যালো ফেন্ডস, আমরা আগামীকাল হয়তো জেলে থাকতে পারি, না হয় বাড়ির আশপাশে থাকতে পারমু না। এ ভিডিওটি প্রকাশের পর তা ভাইরাল হয়।
এদিকে এ বিষয়ে কিশোরীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন এবং কিশোরীর পরিবার আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-১-এর কাছে আইনগত সাহায্য কামনা করেন। র্যাব গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই অভিযুক্ত চার ধর্ষককে গ্রেফতার করে।