২৪ জানুয়ারি ২০২০, ১১:১৫

বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যার পর বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

  © ফাইল ফটো

নওগাঁ সীমান্তে গুলি চালিয়ে তিন বাংলাদেশিকে হত্যার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেখান ২৩১ নম্বর মেইন পিলারের কাছে নোম্যান্স ল্যান্ডে বিজিবি ও বিএসএফের কমান্ডিং পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এ দুঃখ প্রকাশ করে তারা।

এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে নওগাঁ-১৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক এবং ভারতের পক্ষে ১৫৯ বিএসএফের কমান্ডার হার্ষা জসি নেতৃত্ব দেন।

গত বুধবার রাতে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী নওগাঁর পোরশার হাঁপানিয়া দুয়ারপাল সীমান্ত পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু নিতে যান। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বীল এলাকায় বিএসএফ জোয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন।

এতে পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুভ্র কুমারের ছেলে রজনিত কুমার (২৫), দিঘীপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) এবং কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২) নিহত হন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনা জানার পর বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহবান জানিয়ে পত্র দেয়া হয়। এরপর পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এ সময় গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ বলে তিনি জানান।

বিজিবির পক্ষ থেকে গুলি চালিয়ে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে আহবান জানানো হয়। এ সময় ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি রনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের মরদেহ প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় বিএসএফ।

নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিজিবির কাছে এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ১৬ বিজিবির হাপানিয়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মোখলেছুর রহমান। তবে বিকেল ৪টার দিকে সীমানায় পড়ে থাকা নিহত মফিজুল ইসলামের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে পোরশা থানা পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম।