বিচারের জন্য প্রস্তুত আবরার হত্যা মামলা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। এজন্য বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
পলাতক আসামীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য এদিন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিলো। পত্রিকায় তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আইন অনুযায়ী বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় এ মামলা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির জন্য সিএমএম বরাবর নথি পাঠান বিচারক।
সিএমএম মামলাটি মহানগরে পাঠাবেন। সেখানে মামলাটির পরবর্তী বিচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। চকবাজার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পালিয়ে থাকা এজাহারভুক্ত আসামী মোর্শেদ অমত্য ইসলাম গতকাল রোববার আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ৫ জানুয়ারি ৪ পলাতক আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন আদালত, যার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিলো।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলে ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চার আসামীর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া এ সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আসামীরা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। প্রথম তিনজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত। গত বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ডেকে নেয়। এরপর রাতেই শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।