স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মেয়েটিকে অপরহরণ করে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের নামে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। পরে রোববার দুপুরে তারাবোর গন্ধর্বপুর এলাকায় ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী ও গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার গন্ধর্বপুরের বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিফ (২৩), কর্ণগোপের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আফজাল হামিদ (২৪) ও রূপসী প্রধান বাড়ি এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু সুফিয়ান সোহান (২৪)। আবু সুফিয়ান সোহান তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কিছুদিন আগে ওই ছাত্রী গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিফকে ৫০০ টাকা ধার দেয়। গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে গন্ধর্বপুর স্ট্যান্ডে ধারের টাকা ফেরত আনতে যায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৌসিফ, আফজাল, তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহান ও তানভীরসহ অজ্ঞাত ২/৩ তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
পরে রূপসী এলাকার একটি বাড়ি ও কর্নগোপ এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে দুই দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের পর ১০ জানুয়ারি দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় ভুক্তভোগীকে ফেলে রেখে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন তাকে মৌচাক থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জন নামীয় ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেনো, তারা কেউ পার পাবে না। আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবো।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রফিকুল হক বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এরইমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।