ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: সেই এসআই কারাগারে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সান্ধ্যকালীন এমবিএ-এর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক মিরপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রকিব খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার রকিবকে তালতলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ওই এসআইকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে তাঁর আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে জামিন শুনানির জন্য ৭ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
রাকিবের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। ২০১৭ সালে পুলিশের এসআই পদে যোগদান করেন তিনি। ট্রেনিং শেষ করে মিরপুর থানায় কর্মজীবন শুরু করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মেয়েটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন এমবিএ করছেন। তার বাসা শেরেবাংলা নগর থানার তালতলায়। প্রায় ছয় বছর ধরে তার সঙ্গে রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন রাকিব। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিয়ের জন্য চাপ দেন রাকিবকে। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে আসছেন রাকিব। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছে একাধিকবার।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাকিব ছাত্রীর বাসায় আসেন। শারীরিক সম্পর্ক হয় তাদের মধ্যে। এরপর তর্ক বাধে দু’জনের। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী ৯৯৯-এ ফোন করে রাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রীর বাসা থেকে রাকিবকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। রাতে তিনি রাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে এক নারীকে দীর্ঘদিন হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে গত নভেম্বরে পল্টন থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে করা বিভাগীয় মামলার তদন্ত চলছে।