নুরদের ওপর লাঠি হাতে মারমুখী নেত্রীকে নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার সময় লাঠি হাতে এক নেত্রী আলোচনায় এসেছেন। ডাকসু ভবনে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা হামলা চালানোর সময় তাকেও মারমুখী অবস্থানে দেখা যায়।
গত ২২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার হামলার সময়কার একাধিক ভিডিওতে তাকে দেখা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, তার নাম ফাতেমাতুজ জুহরা রিপা। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক তিনি। এছাড়াও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক।
জানা গেছে, রামগঞ্জ পৌরসভার বাঁশঘর এলাকার রিপা রামগঞ্জ মডেল কলেজের অনার্সে পড়ছেন। হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তার নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়। অনেকে তার পরিচয় প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
কিছুদিন আগে গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ হয়, গত ৬ এপ্রিল রামগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের আনোয়ার হোসেন খানের সঙ্গে তিনি সভামঞ্চে উঠলেও নামিয়ে দেয়া হয়। তাকে কেন নামিয়ে দেয়া হলো সে ক্ষোভ প্রকাশ করতে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি।
অনেকের দাবি ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনায় লাঠি হাতে আলোচিত রিপাকেই দেখা গিয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ফাতেমাতুজ জুহরা রিপা লাঠি হাতে থাকা তরুণী তিনি বলেও স্বীকার করেছেন।
লাঠি হাতে তুলে নেয়ার ব্যাখ্যাও দিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, কারও ওপর হামলা করতে নয়; শিবির-ছাত্রদল ঠেকাতে এবং নিজের নিরাপত্তার জন্য লাঠি হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভিপি নুরের সঙ্গে থাকা বহিরাগত ছাত্রদল-শিবিরের নেতাকর্মীরা গালমন্দ করেছেন। এজন্য লাঠি হাতে তাদের ধাওয়া করেছিলাম।’
রিপার এই লাঠি হাতে নেয়ার দৃশ্য ভাইরাল হয়ে পড়লে রিপার নিজ শহর রামগঞ্জেও নিন্দার ঝড় বইছে। পরে সমালোচনায় পড়ে নিজের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ রাখেন নিপা।
রিপার বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন রিপা। সম্প্রতি ঢাকায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দায়িত্ব পেয়েছেন। লাঠি হাতে ছবিগুলো দেখেছি আমরা। এমন কাজ করা তার ঠিক হয়নি। এলাকায় তাকে নানা নেতিবাচক কথাবার্তা চলছে।’