র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে শোকজ
ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের সত্যায়িত কপি দিতে দেরি করায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ও রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তারকে শোকজ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম এনায়েতুর রহীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ শোকজ করেন। ১৬ জানুয়ারির মধ্যে এ শোকজের জবাব দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার পর ৪ মাস পেরোলেও সাজাপ্রাপ্ত এক ব্যক্তিকে সার্টিফায়েড কপি না দেওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমকে তলব করে হাইকোর্ট। আগামী ১ ডিসেম্বর হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। পরে হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার। আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেছিলেন, ‘ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সর্তক থাকব।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই আদেশ দেন। সাজা দেওয়ার ৪ মাস পরও অনুলিপি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে মো. মিজান মিয়া নামের ব্যক্তি ১৭ নভেম্বর রিটটি করেন। এর আগে চলতি বছরের ১৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মিজান মিয়াকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের তপু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি পশুখাদ্য প্রস্তুতকরণ কারখানার ব্যবস্থাপক রিটকারী মিজান। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম সাখাওয়াত হোসেন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
সে সময়ে আদালতের আদেশের পর এম সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত ব্যক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করতে পারেন। এ জন্য আদেশের প্রত্যয়িত অনুলিপি লাগে। মিজানের পক্ষ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনুলিপির জন্য দুবার আবেদন করা হয়। চার মাস পেরোলেও ওই অনুলিপি দেওয়া হয়নি। এই নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার পর আদেশের অনুলিপি দেওয়ায় নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং পাঁচ দিনের মধ্যে (মিজানের ক্ষেত্রে) প্রত্যয়িত অনুলিপি দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেওয়া হয়। ৭ দিনের মধ্যে আইন ও স্বরাষ্ট্রসচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাবের মহাপরিচালক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমসহ ৬ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল সে সময়।