০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:২৩

চাকরির প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ, আটক ১

প্রতীকি ছবি  © ফাইল ফটো

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিগড় হাজিবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে শনিবার বিকালে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাকিব মিয়া (২০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত রাকিব শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিগড় গ্রামের রবিউল্লাহর ছেলে। এ ঘটনায় একই এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে আরিফ (২৫) নামে একজন পলাতক রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আরিফ মিয়া (২৫) নামের এক ব্যক্তি ওই ছাত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখায়। আরিফ নিজেকে একটি কোম্পানীর মালিক বলে পরিচয় দেন। চাকরির আশ্বাস দিয়ে শুক্রবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেন। কথা মোতাবেক ছাত্রী শিবপুরের বড়ইতলা এলাকায় স্যামসাং কারখানার সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। এসময় আরিফ কলেজছাত্রীকে পণ্য প্রচারের জন্য সেলসম্যান হিসেবে কাজের প্রস্তাব দেয়।

পরে সে মাইক্রোবাসে করে আরিফ ও তার সহযোগী রাকিবের সাথে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। পরে গাড়িতে করে ঘুরিয়ে রাতে হাজীবাগান এলাকায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে লাথি দিয়ে গাড়ী থেকে মুখ বেঁধে ফেলা হয়। পরে হাজীবাগান এলাকার একটি নির্জন জঙ্গলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। রাতভর নির্যাতন শেষে সকালে জঙ্গলের পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় একজনের সহায়তায় শিবপুর মডেল থানায় যায়। পরে তাকে প্রথমে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বিকালে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত রাকিব নামে একজনকে আটক করলেও আরিফ নামে একজন পলাতক রয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বলেন, শুক্রবার মেয়েকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আরিফ ডেকে পাঠায়। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে রাত পেরিয়ে গেলেও মেয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। সারারাত মোবাইলে চেষ্টা করেও পাইনি। শনিবার দুপুরে শিবপুর হাসপাতালে নেওয়ার পর আমরা ঘটনা জানতে পারি।

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে সৃষ্টিগড় এলাকা থেকে রাকিব নামে এক অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে। ধর্ষণের শিকার তরুণীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। আর তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।