সহপাঠীর এক ঘুষিতে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
ভোলার চরফ্যাশনে খেলা শেষে পানি পান করা নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির মেহেদী হাসানের সঙ্গে ঝগড়া হয় ইকরামুল আলমের। মেহেদী তুই বললে ইকরাম মেহেদীকে ঘুষি মারে। এক ঘুষিতেই মেহেদী মারা যায়। গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াহিদিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মেহেদীর চাচা মো. বশির হাওলাদার বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে আজ শনিবার চরফ্যাশন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ইকরামের বাবা আবদুল আলীম মাঝিকে আটক করেছে। ইকরাম পলাতক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্ব থেকে এ দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধে মামলা-মোকদ্দমা চলছিল। এরই জেরে মেহেদীর ওপর ইকরাম হামলা করেছে। পুলিশ ইকরামের বাবা আবদুল আলীম মাঝিকে গ্রেফতার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বন্ধের দিন। সকাল ১০টার দিকে একদল স্কুল পড়ুয়া শিশু চরফ্যাশন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাজাহান মোল্লাবাড়ির দরজায় ওয়াহিদিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসার মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। দুপুর ১২টায় খেলা শেষ হয়।
পানির তৃষ্ণা লাগলে দক্ষিণ ফ্যাশন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান একটি বোতল নিয়ে প্রতিবেশী আড়ালিয়া বাড়ির মসজিদের নলকূপ থেকে পানি আনতে যায়। পানি নিয়ে এসে বন্ধুদের সবাইকে পান করায় শুধু ইকরামকে ছাড়া।
এ নিয়ে টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইকরামুলের সঙ্গে মেহেদীর কথা কাটাকাটি হয়। মেহেদী ছোট হয়ে ইকরামকে তুই-তুকারি করলে ইকরাম মেহেদীকে জোরে এক ঘুষি মারে। ওই ঘুষিতে মেহেদী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
মেহেদীর চাচাতো ভাই মো শাহিন, আরিফুল ইসলাম, মমিনসহ সবাই মিলে মেহেদীকে ঘটনাস্থল থেকে মোল্লাবাড়ির চৌরাস্তার মাথায় নিয়ে যায়। পরে তার মা মিতু বেগম তার ছেলেকে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতালে) নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল রেফার করে। বিকাল ৫টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল অ্যান্ড কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরফ্যাশন থানার ওসি শামসুল আরিফিন বলেন, এ ঘটনায় মেহেদীর চাচা মো. বশির হাওলাদার শনিবার চরফ্যাশন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।