২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:২৪

আদালত প্রাঙ্গণে নুসরাতের পরিবারকে হত্যার হুমকি

এসএম সিরাজ উদ-দৌলা   © সংগৃহীত

আদালত প্রাঙ্গনে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা নুসরাতের পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এছাড়া আসামির পরিবারের লোকজনও তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। যার ফলে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে নুসরাতের পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আদালত চত্বরে নুসরাত হত্যায় ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর এ হুমকির কথা গণমাধ্যমকে জানান নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নুসরাতের আইনজীবী শাহজাহান সাজু, নুসরাতের বাবা মওলানা একেএম মুসা মানিক।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেনী জজকোর্টের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি তাঁদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ জরিমানার টাকা নুসরাতের পরিবারকে প্রদান করতে হবে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ-দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসার সাবেক সহ সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে মাদরাসার প্রশাসনিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।