ভারতে পালানোর সময় আবরারের খুনি সাদাত গ্রেফতার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাতকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ নিয়ে আবরার হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার কাঠলা বাজার এলাকা থেকে আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। গ্রেফতারকৃত এ এস এম নাজমুস সাদাত জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার কালাই উত্তরপাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তিনি দিনাজপুর জেলার হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে হিলি প্রতিনিধিকে জানান, আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নাজমুস সাদাত বিরামপুরের কাঠলা সীমান্ত পথ ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বিরামপুর থানায় আসে। পরে বিরামপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার কাঠলা গ্রামে সাদাতের আত্মীয় রফিকুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ডিবি পুলিশ দ্রুত তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। রফিকুল ইসলাম কাঠলায় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত।
প্রসঙ্গত গত ৫ অক্টোবর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ।
পর দিন রাতে বুয়েট শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।
হত্যার ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।