যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন নাদিয়া

বৃটেনের রানির জন্মদিনে নাদিয়া হুসেইন
বৃটেনের রানির জন্মদিনে নাদিয়া হুসেইন  © বিবিসি

‘গ্রেট বৃটিশ বেক অফ’ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া হোসেন মাত্র ৫ বছর বয়সে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তা থেকে মানসিক ক্ষত তিনি এখনও বহন করে বেড়াচ্ছেন।

বাংলাদেশেই তার এক আত্মীয়র দ্বারা ওই ঘটনার পর তিনি ১০ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। প্রকাশিতব্য আত্মকথা ‘ফাইন্ডিং মাই ভয়েস’-এ সব কথা বলেছেন বৃটেনে ‘বেস্ট লাভড’ সেলিব্রেটি শেফ নাদিয়া।

দ্য মেইল অব সানডে’র ইউ ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব নিয়ে কথা বলেছেন। নিজেই স্বীকার করেছেন ওই যৌন নির্যাতনের কথা। এখন তার বয়স ৩৪ বছর।

তিনি জানিয়েছেন, ৫ বছর বয়সে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় তার ভিতর এক মর্মপীড়া কাজ করেছে। তার ভিতর কয়েক দশক ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে’ (ক্ষতের শিকার পরবর্তী অস্থিরতা) তিনি ভুগেছেন।

তিনি বলেন, এটা এমন এক স্মৃতি যা আমার ভিতর চিরদিন রয়ে গেছে। তার সঙ্গে কি ঘটেছিল তা তিনি পুরোপুরি বুঝতে পারেন জীববিজ্ঞানের ক্লাসে, যখন পড়ানো হচ্ছিল যৌন সম্পর্ক নিয়ে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি ল্যাবরেটরিতে যেন লজ্জায় ডুবে গিয়েছিলেন।

নাদিয়া বলেন, এ নিয়ে সম্প্রতি আমার বোনদের বলেছি। বলেছি স্কুলে আমার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে। দেখি তার সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাই এটা মুখ খুলে বলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমরা এ বিষয়টিকে তেমন তোয়াক্কা করি না।

প্রাইমারি স্কুলে ছেলেরা তাকে যেভাবে বিরক্ত করতো তা নিয়েও গভীরভাবে ভীত ছিলেন নাদিয়া। তিনি খুব কালো বলে তাকে তাকে বিব্রত করতো তারা। এরপর দশ বছর বয়সে তিনি প্রথম আত্মহত্যা শব্দটি শুনতে পান। তা মা অন্তঃসত্ত্বা শুনে পিছিয়ে যান নাদিয়া।


সর্বশেষ সংবাদ