ছাত্রলীগ নেতারাও রেহাই পাননি খালেদের নির্যাতন থেকে (ভিডিও)
যুবলীগ নেতা হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়মিত নির্যাতিত হতেন তার হাতে। এমনকি গেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকটি থানা কমিটিতে নিয়মিতই হস্তক্ষেপ করতেন। নিজের আধিপত্য ও মাদকের ব্যবসার সুবিধার জন্য তিনি এমন কর্মকাণ্ড করতেন বলে জানা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আলী রেজা খান রানা। স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী পল্টন থানার এই সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। অথচ আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক হিংসার কারণে ২০১৭ সালে তার বাসায় হামলা চালায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ক্যাডার বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন রানার বৃদ্ধা মা।
সেখানেই থেমে থাকেননি খালেদ। পরবর্তীতে কমিটি থেকে রানার নাম বাদ দিতে চাপ দেন পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হককে। কথা না রাখায় হামলা চলে তার বাড়িতেও।
তার কথা না মানায় হামলা হয়েছিল পল্টন থানার সভাপতির বাড়িতে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন অনেক কর্মীর পরিবারও। প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়েছেন ছাত্রলীগের অনেক কর্মীও।
মাদক ব্যবসার সুবিধার জন্য যুবলীগের পদ পাওয়ার আগেই খালেদের চোখ পড়ে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ছাত্রলীগ কমিটির উপর। কয়েকবার মেরে ফেলার চেষ্টা হয় তৎকালীন সভাপতি ও ছাত্রনেতা সোহেল শাহরিয়ারকে। বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন সোহেল।
নির্যাতন থেকে বাদ পড়েনি সোহেল পরবর্তী সভাপতি নুরুন্নবী অপুও। নির্দেশ না মানায় ছাত্রলীগ কর্মী জিতুকে ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে খালেদের ক্যাডার বাহিনী।
বড় নেতাদের কাছে খালেদের এমন নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেও কোনও সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়েই তাই কেউ খালেদের হয়ে কাজ করেছেন। আবার কেউ পালিয়ে বেড়িয়েছেন। খালেদের এমন নির্যাতনেরও বিচার দাবি করেছেন কর্মীরা।
কৃতজ্ঞতা: নিউজ২৪