চাঁদা না পেয়ে যুবলীগ নেতাকে কোপাল ছাত্রলীগ নেতা
চাঁদা না পেয়ে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে। আহত ওই যুবলীগ নেতার নাম ইয়াসির আরাফাত রাজু।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রাজু বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি (কমলনগর অঞ্চল) আদালতে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জিহাদসহ তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাদীর আইনজীবী আবদুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের বিচারক পলাশ বর্ধন এজাহারটি আমলে নিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আইনগত ব্যবস্থা (এফআইআর) নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কমলনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত রাজুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আফিফ ট্রেডার্স দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর কেনে। এজন্য খুলনার ‘মায়ের আদর’ নামের একটি জাহাজে ব্যবহার করেন তিনি। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদ ও তার অনুসারীরা রাজুর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে- ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে টাকা দিতে হবে। চাঁদা না পেলে রাজুকে হত্যা করে লাশ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু রাজু তাদেরকে টাকা না দেয়ায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে উপজেলার মাতাব্বরহাট মেঘনা নদী এলাকায় অভিযুক্তরা তার জাহাজ আটকে রাখে। পরে রাজুর কাছ থেকে অভিযুক্তরা ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
একই দিন রাত ১টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জিহাদ ও তার লোকজন মাতাব্বরহাটের রাজুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ঢুকে রাজুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এতে তার মাথায় ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘটনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে তিনি লক্ষীপুর এসে প্রতিবেদন লেখার অনুরোধ করেন।