০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:২৬

মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শান্ত

  © সংগৃহীত

দুদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শান্ত হোসেন (২০)। আজ সোমবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি।

জানা গেছে, গত শনিবার সকালে তিনটি মোটরসাইকেলে মোট পাঁচজন বন্ধু গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা এলাকায় চলনবিল দেখতে যান। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের বাওনবাজার এলাকায় মোটরসাইকেল ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন শান্ত-আকাশসহ মোট সাত জন।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত শান্তকে রাজশাহী এবং আকাশকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতালে মৃত্যু হয় আকাশের।

এদিকে সন্তানের লাশ দেখে শোকে স্তদ্ধ হয়ে গেছেন শান্ত’র মা সাবিনা ইয়াসমিন। কিছুক্ষণ পর পর জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেকে হারিয়ে অঝোরে কাঁদছেন বাবা ইয়াসিনও।

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন জানান, নিহত শান্ত পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধূলাউড়ি গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে। তিনি ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন শান্ত।

রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান শান্ত। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন শান্ত। বাবা-মার স্বপ্ন ছিল ছেলে প্রকৌশলী হয়ে ভবিষ্যতে বড় কোনো চাকরি করবে।কিন্তু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কেড়ে নিল তাদের সব স্বপ্ন।

এদিকে একই গ্রামে দুই মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুতে চলছে শোকের মাতম। পুরো গ্রামের মানুষ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।