০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৫০

সেই রোহিঙ্গা ডাকাত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

  © সংগৃহীত

টেকনাফের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি রোহিঙ্গা ‘ডাকাত’ নূর মোহাম্মদ (৩৪) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়। নিহত নূর মোহাম্মদ ডাকাত, রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা ও ইয়াবা গডফাদার বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নূর একাধিক মামলার পলাতক আসামি। এছাড়া যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিকদেরকে বলেন, ভোর পৌনে ৬টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশের দল গ্রেপ্তার নূর মোহাম্মদকে নিয়ে হ্নীলা জাদিমোরা ২৭ নম্বর ক্যাম্পের পাহাড়ি জনপদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায়।

সেসময় রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠন ও মাদক চোরাকারবারিরা এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে নূর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। নূর মোহাম্মদের বাহিনীর গুলিতে ওসি (তদন্ত) সহ তিনজন আহত হন। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা গভীর বনে পালিয়ে যায়।

সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে চারটি এলজি, একটি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরায় গত ২২ আগস্ট যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) গুলি করে হত্যা করা হয়। তার বড় ভাই ওসমান গণি অভিযোগ করেন, একদল রোহিঙ্গা তাকে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পাশের পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদ। এর আগে ২৩ আগস্ট রাতে জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে ওমর ফারুক হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। তারা হলেন- জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. শাহ ও আবদুর শুক্কুর।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ মেয়ের রাজকীয় কান ছেদন অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনায় ছিলেন। মেয়ের জন্য এক কেজি ওজনের স্বর্ণ ও অর্ধকোটি টাকা উপঢৌকন ওঠে বলে শোনা যাচ্ছে।