রুপার আত্মহত্যা: বখাটে তামিম গ্রেফতার
বখাটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পিরোজপুরে স্কুলছাত্রী রুকাইয়া রুপার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তামিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে ভাণ্ডারিয়া পৌর এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে বখাটে তামিমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা করেন নির্যাতিতার বাবা। পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, ভাণ্ডারিয়া থানায় পাঁচজনকে আসামি করে রূপার বাবা মামলা করেন। পরে পুলিশ ডিবির সহায়তা প্রধান আসামি তামিমকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
নিহতের বাবা জানান, কয়েক মাস ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত ভান্ডারিয়া গ্রামের মঞ্জু খানের ছেলে তামিম খান (১৯)। এতে রাজি না হওয়ায় রুপার একটি ছবি এডিট করে তা বিভিন্ন জনের ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয় তামিম।
শুক্রবার বিকেলে এক সহপাঠীর সাথে প্রাইভেট শেষে বাসায় ফেরার পথে পথ আটকে রুপাকে বিরক্ত করতে থাকে তামিম। তার সাথে প্রেম না করলে এডিট করা ছবিটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এরপর বাড়িতে ফিরে রুপা বিষয়টি তার মাকে জানায়। তার মা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে রুপার বাবাকে জানালে রাতে বাড়ি ফিরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
ওই দিন রাত ১০ টায় বাড়ি ফিরে তিনি রুপাকে তার ঘরে ডাকতে পাঠালে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকির পরও তার কোনো সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন। এ সময় তাকে ঘরের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পান। রুপা ঘরে থাকা ঘুমের ওষুধ সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে অচেতন হন।
তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না করে ডাক্তাররা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।