৩০ আগস্ট ২০১৯, ১০:৪৫

পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন এই সাধনা

  © টিডিসি ফটো

জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের নারী কেলেঙ্কারির ভিডিও প্রকাশের পর তাকে ওএসডি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার স্থানে নতুন এক ডিসিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ খবর জানাজানির পর থেকেই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী (পিয়ন) সানজিদা ইয়াসমিন সাধনাকে নিয়ে কথা বলতে ডিসি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাহসী হতে শুরু করেছেন।

যারা ভয়ে এতদিন আহমেদ কবীর ও তার শয্যাসঙ্গিনী নিয়ে কোনো কথা বলেননি, তারাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন। একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে তার সব কৃতকর্ম। জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর সে টাঙ্গাইলের এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় বিয়েটি করে।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, সানজিদা ইয়াসমিন অফিসে দোর্দণ্ড প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াতেন। শুধু কর্মচারীরাই নন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও তিনি পাত্তা দিতেন না। চাকরি হারানোর শঙ্কায় প্রতিবাদ করতে সাহস পেতেন না কেউ।

সানজিদার জন্ম জামালপুর শহরের পাথালিয়া গ্রামে। মা ফেলানী বেগম। বাবা অহিজুদ্দিন। বাবার পেশা ছিল ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে মালামাল আনা-নেওয়া। সানজিদার জন্মের সময় অহিচুদ্দিনের ঘরে দেখা দেয় অভাব।

সানজিদার বয়স যখন সাত দিন, তখন অভাবের তাড়নায় তাকে দত্তক দেন মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের সুখনগরী গ্রামের নিঃসন্তান খাজু মিয়া ও নাছিমা আক্তার দম্পতির কাছে।

তাদের লালন-পালনে বেড়ে ওঠা সানজিদার লেখাপড়া চলাকালেই বিয়ে হয় একই উপজেলার জোনাইল গ্রামের বেসরকারি কোম্পানির কর্মচারী জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তাদের ঘরে পূর্ণ নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ২০০৯ সালে মারা যান সানজিদার স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর তার পালক পিতামাতার সঙ্গে জামালপুর শহরের বগাবাইদ গ্রামে বসবাস শুরু করেন। পরে টাঙ্গাইলের এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে পালিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি।

সানজিদার ঊশৃঙ্খল জীবনযাপন ও অবাধ চাল-চলনের কারণে টেকেনি দ্বিতীয় বিয়েটিও। দ্বিতীয় বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর তিনি নিজ ঘরেই দোকান দিয়ে বিক্রি করতেন দেশি-বিদেশি প্রসাধনী। সেই ব্যবসাতেও টিকতে না পেরে শুরু করেন হস্তশিল্পের ব্যবসা। ২০১৮ সালের উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নিয়েই ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে গড়ে সম্পর্ক।

সাধনার বিশেষ কিছু সমস্যার মধ্যে মাথায় চুল না থাকা অন্যতম। সে পরচুলা পরে মাথা ঢেকে রাখে হিজাবে। কোন একটি বিশেষ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শিশুকালে মাথার চুল ও ভ্রু উঠে যায় তার। বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিলেও সানজিদার মাথায় চুল উঠেনি আর।