সেই ডিসির শুদ্ধাচার সনদ কেড়ে নেয়া হচ্ছে
নারী অফিস সহকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণের ঘটনায় বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের শুদ্ধাচার সনদ কেড়ে নেয়া হবে। এমনটা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। রবিবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে বেলা দেড়টার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, একজন ডিসি একটি জেলার অনুকরনীয় ব্যাক্তি। তার কাছে এরকম অনৈতিক কর্মকান্ড কাম্য না। তার বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তাকে এর আগে শুদ্ধাচার পদক দেয়া হয়েছিলো। সেটা ফিরিয়ে নেয়া হবে। আগামীতে ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্র নৈতিকতা বিবেচনা করে নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ডিসিকে ওএসডি করার প্রসঙ্গ টেনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জামালপুরের ডিসি অনৈতিক কাজ করেছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। অধিকতর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে শুধু ডিসি নয় যে নারীর নাম এসেছে সেও তদন্তের আওতায় আসবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি করে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনাটি ‘সাজানো’ বলে দাবি করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারাদেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।