দীপ্তির ইসলাম ধর্ম গ্রহন ও নিরাপরাধের এক মাস জেল
প্রেমের টানে এক মাস আগে মুসলিম ছেলের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন দীপ্তি। বিয়ের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে নাম রাখেন সানজিদা। অন্যদিকে এই দীপ্তিকে অপহরণের অভিযোগে এক মাস ধরে জেল খাটছেন নিরপরাধ এক ব্যাক্তি। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার। ভুক্তভোগীর নাম সুজিত।
জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ভটেরগাতী পাড়া দুর্গাপুর গ্রামের শিরীষ বিশ্বশর্মার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী দীপ্তি রানী গত ১৬ জুলাই স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন এ ব্যাপারে দীপ্তির বাবা থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলায় দীপ্তির এক সহপাঠী মনি বর্মণসহ তার দুই ভাই সুজিত বর্মণ ও প্রদীপ বর্মণকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলায় উপজেলার আশুজিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন বর্মণের ছেলে সুজিত বর্মণকে (২৫) গ্রেফতার করে ১৯ জুলাই আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। এক মাস চারদিন ধরে জেলহাজতে আছেন সুজিত।
এদিকে দীপ্তি রানী ফিরে এসে জানায়, কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিংরাউন্দ গ্রামের মুসলিম পরিবারের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল হান্নানের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। হান্নান পেশায় রডমিস্ত্রি। তার সঙ্গে দুই বছরের প্রেমের টানে ওই দিন (১৬ জুলাই) আশুজিয়া থেকে আমি ঈশ্বরগঞ্জ চলে যাই। পরে আব্দুল হান্নানের সঙ্গে পালিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে চলে আসি। সেখানে বিয়ে হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছি আমরা। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে আমার নাম সানজিদা আক্তার রুনা। আমি বাবার কাছে যেতে চাই না, স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই।
বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান। তিনি বলেন, বুধবার (২১ আগস্ট) গভীর রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে দীপ্তি রানীকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।। তার কথিত স্বামী পালিয়ে গেছে। দীপ্তি তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায় না। তাই দীপ্তিকে আদালত সেফ কাস্টডিতে রেখেছেন।
সুজিতের বিষয়ে জানতে চাই তিনি বলেন, সুজিত এখনো কারাগারে আছেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তিনি নিরপরাধ হলে তাকে আদালত চেড়ে দিবে।