নিখোঁজের ৭ দিন পর স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০১:০১ PM , আপডেট: ২১ আগস্ট ২০১৯, ০১:০১ PM
ফেনী সদর উপজেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর মোশারফ হোসেন সজীব (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা মাটিচাপা দেয়া লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সজীব ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামের কাতার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে শহরের হলি ক্রিসেন্ট ইনস্টিটিউটের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
ফেনী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জমান জানান, ঈদের দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয় মোশারফ হোসেন সজীব। এ সময় তার অপর সহপাঠী সজীবসহ তিনজন পাশবর্তী একটি মুরগির খামারে যায়। রাতে মোশারফ হোসেন সজীব ঘরে না ফিরলে পরিবারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে স্বজনরা।
তাকে না পেয়ে পরদিন ১৩ই আগষ্ট সকালে তার মা ফারজানা আক্তার ফেনী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। পরে বিষয়টি পিবিআই ও র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পকে জানানো হয়।
পিবিআই নিখোঁজ মোশারফ হোসেন সজীব এর সহপাঠী সজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, তারা ঘাঘরা গ্রামের একটি মুরগির খামারে গেলে খামার মালিক তাদের তাড়া করে। পরে সে পালিয়ে বাড়ি ফিরলেও তার বন্ধু মোশারফ হোসেন সজীব কোথায় তা জানাতে পারেনি।
এদিকে মুরগির খামারের মালিক মো. মানিক মিয়াকে (৪৫) আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে পিবিআই সদস্যরা শর্শদি ইউনিয়নের ঘাঘরা গ্রামের ওই মুরগির খামারে মাটির নীচে পুঁতে রাখা সজীবের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে খামার মালিক মো. মানিক মিয়া তাদের জানিয়েছে, পালাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটে সজিব মারা যায়। মামলার ভয়ে তাকে খামারের ভেতর পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
তবে নিহতের স্বজনরা দাবি করছেন, সজীবকে হত্যা করে মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। সজীবের মুখ থেতলানোসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, মুরগি চুরিকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটিত হবে।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া পিবিআই-এর হাতে আটক খামার মালিক মো. মানিক মিয়াসহ দুই জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।