সচিবের জন্য ছাড়েনি ফেরি, স্কুলছাত্রের মৃত্যু
সচিবের গাড়ির জন্য ফেরি ছাড়তে তিন ঘণ্টা দেরি করায় তিতাস ঘোষ নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৫ জুলাই রাতে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
নড়াইল কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তিতাস ঘোষ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তিতাসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হচ্ছিল। তবে রাতে অনেক অনুরোধের পরও কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ছাড়েনি। এমনকি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেও প্রতিকার মেলেনি।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টায় কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সটি। তখন কুমিল্লা নামের ফেরিটি ঘাটেই ছিল। কিন্তু ওই কর্মকর্তার গাড়ি না আসা পর্যন্ত ফেরি ছাড়তে রাজি হয়নি ঘাট কর্তৃপক্ষ। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তিতাসের।
মৃতের স্বজনরা জানান, রাত ৮টার ফেরি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের গাড়ি আসার পর ছাড়ে রাত ১১টায়। ততক্ষণে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তিতাসের। তাই ঢাকার দিকে না গিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাড়ির দিকে অ্যাম্বুলেন্স ঘুরিয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএর সচিব প্রণয় কান্তি বিশ্বাস কাঁঠালবাড়ি ঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়ার কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়েছেন। এছাড়া রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে উঠতে না দেয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানও।
জানতে চাইলে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া সাংবাদিকদেরকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটে দায়িত্বে ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন। ওই দিন বিকেলে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক আমাকে মৌখিকভাবে ভিআইপি (অতিরিক্ত সচিব) পারাপারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ওই অতিরিক্ত সচিবের নাম জানা নেই বলেও জানান তিনি।