মেধাবী ছাত্র সাফিন হত্যার ৮ মাস পর আসামী গ্রেফতার

  © টিডিসি ফটো

দীর্ঘ ৮ মাস পর ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র সামিউল আলম সাফিন হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে পিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মেহেদী হাসান বিল্টু (৩৫) কে। এই মামলায় তার মা জাহানারা বেগম পলাতক রয়েছেন। বিল্টু ঝিনাইদহ পৌরসভার গয়াশপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার পিবিআই’র এসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মেহেদী হাসান বিল্টুকে খুঁজে পেতে তার বড় ভাই লাল্টুকে টাইলসের কাজ করার কথা বলে কৌশলে পিবিআই অফিসে ডেকে নিয়ে নজর বন্দি করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে ঢাকায় যায় পিবিআই’র একটি দল। লাল্টুকে দিয়ে ফোন করে বিল্টুর অবস্থান সনাক্ত করা হয়।
ঢাকার পল্লবী থানার কালসি এলাকা থেকে বিল্টুকে আটক করা হয়। পরে ঝিনাইদহ পিবিআই অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদে কি ভাবে সাফিনকে হত্যা করা হয় তার বর্ণনা দেন বিল্টু।

বিল্টু পিবিআইকে জানিয়েছে ঝিনাইদহ প্রিন্স হাসপাতালে টাইলসের কাজ করার সময় সে ও তার মা ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আলমের বাড়িতে চুরি করার ফন্দি আটে। ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর বিল্টু ও তার মা জাহানারা বেগম আলমের বাসায় চুরি করে বেরিয়ে আসার সময় স্কুল ছাত্র সাফিন তাদের দেখে ফেলে। এ সময় মা ও ছেলে দুজনে মিলে সাফিনকে নির্মম ভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার করে পালিয়ে যায়।

নিহতর পিতা কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আলম এ ঘটনার পরদিন ২৯ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ঝিনাইদহ সদর থানার পরিদর্শক ( অপারেশন ) মহসিন আলী। পুলিশ এ ঘটনায় হামদহ শান্তিনগর পাড়ার রিফানকে আটক করে। তার কাছ থেকে কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারে না। ৮ মাস মামলাটির কোন অগ্রগতি হয় না। এরপর মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান বিল্টু শনিবার আদালতে হত্যার বর্ণনা ও দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানান, তদন্তকারী অফিসার তৌহিদুল ইসলাম।


সর্বশেষ সংবাদ