কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত, প্রতিবাদ করায় মা-খালাকে বেধড়ক মারধর

হাসপাতালে ভর্তি হামলার শিকার পরিবারের সদস্যবৃন্দ
হাসপাতালে ভর্তি হামলার শিকার পরিবারের সদস্যবৃন্দ

যশোরের শার্শার উলাশী পূর্বপাড়া গ্রামের এক কলেজ ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়। ওই কলেজ ছাত্রীর উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উলাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত পরিবারের সদস্যদের স্থানীয় শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (নাভারন) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উত্ত্যক্তের শিকার ওই কলেজ ছাত্রীর নাম অঞ্জলী খাতুন। বাবার নাম গোলাম হোসেন। সে স্থানীয় ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

হামলার শিকার ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী অঞ্জলী জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমাদের গ্রামের জামাই ভ্যানচালক সাজ্জাদ আমাকে কলেজে যাতায়াতের সময় বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে। সুযোগ পেলেই আমাকে কু-প্রস্তাব দিত, পুকুরে গোসলের সময় কৌশলে মোবাইল ফোনে আমার ভিডিও ধারণ করত।

ঘটনার দিন সাজ্জাদকে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রথমে আমার মাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। তারপর ঘটনাস্থল থেকে আমার মাকে ছাড়াতে গেলে একে একে খাঁ বংশের ৫০-৬০ জন সদস্য আমাদের পরিবারের পাঁচ জনের উপর অতর্কিত লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের শরীর থেকে স্বর্ণের ৪টি চেইন প্রায় ৫ ভরি ওজনের ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমাদের বেধড়ক পিটিয়ে ফেলে রেখে ঐ স্থান ত্যাগ করে।

অঞ্জলী আরো জানায় স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়াই সাজ্জাদসহ খাঁ বংশের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে। হামলা করার সময় আমাদেরকে মামলা ও সাংবাদিকদের জানানো যেন না হয় বলে হুমকি প্রদান করেন। এজন্য আমাদের উপর হামলার ঘটনা সাংবাদিকদের জানাতে সময়ক্ষেপণ হয়েছে।

অঞ্জলীর মা ফাইমা আক্তার বলেন আমার মেয়েকে সাজ্জাদ সবসময় উত্ত্যক্ত করতো। তাকে নিষেধ করার পরও সে আমার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিত। এর প্রতিবাদ করতে গেলে প্রথমেই সাজ্জাদ আমাকে কিলঘুসি মারতে থাকে পরবর্তীতে বেধড়ক ভাবে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমাকে আমার পরিবারের সদস্যরা বাঁচাতে এলে সাজ্জাদের শশুর বাড়ীর লোকজনেরা তাদেরকে মেরে আহত করে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার এম এ মারুফ আহত কলেজ ছাত্রী অঞ্জলীর পরিবারের হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তারা হামলার কারণে বিভিন্ন ভাবে আহত হয়েছেন। মাথার সিটিস্ক্যানসহ এক্সরে করাতে বলেছি রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে আঘাত কতটুকু গুরুতর।

শার্শা থানার এসআই মামুন বলেন এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে খুব দ্রুত সময়ে অভিযুক্ত আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ