গাজীপুরে তিন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, লাফ দিয়ে রক্ষা পেল একজন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০১৯, ০১:৪৭ PM , আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯, ০১:৫৮ PM
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় স্কুল যাওয়ার পথে তিন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের পর সন্ধ্যার দিকে মাইক্রোবাসটি রাজশাহী পৌঁছালে তিন স্কুলছাত্রীর মধ্যে একজন মাইক্রোবাস থেকে লাফ দেয়। একজন দোকানি তাকে উদ্ধার করে নগরীর মতিহার থানায় পৌছে দিয়েছে। ঘটনার পরই মাইক্রোবাসটির খোঁজে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ।
উদ্ধার হওয়া ছাত্রীর নাম মিতা আক্তার বর্ষা (১৪)। তার বাড়ি শ্রীপুরের শান্তিনগর এলাকায়। সে গাজীপুরের মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার সঙ্গে অপহরণ হওয়া অপপর দুই ছাত্রী তার সহপাঠী জ্যোতি ও মেঘলা। তাদের পুরো পরিচয় সে তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেনি।
নগরীর বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা উদ্ধারকারী হাসিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, তালাইমারীর মোড়ে তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। রাত আটটার দিকে হঠাৎ স্কুলের ইউনিফর্ম পরা একটি মেয়ে দৌড়ে এসে দোকানের চেয়ারে বসে কান্নাকাটি করতে থাকে। তিনি পরে তার কাছ থেকে অপহরণের ঘটনা জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে মতিহার থানায় বিষয়টি জানান এবং নিজেই থানায় গিয়ে মেয়েটিকে দিয়ে আসেন।
বর্ষা জানিয়েছে, সকাল নয়টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে তাদের তিনজনকে সাদা রঙের বড় মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর তার আর জ্ঞান ছিল না। জ্ঞান ফেরার পরে গাড়িটি এক জায়গায় দাঁড়ালে সে দরজা খুলে লাফ দিয়ে দৌড় দেয়। সে সময় তার দুই সহপাঠী অচেতন ছিল। তাদের পরনেও স্কুল ড্রেস রয়েছে।
মতিহার থানার পুলিশ রাত সাড়ে নয়টার দিকে মিতা আক্তারকে মোবাইলে তার মা নাজমা বেগমের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। নাজমা বেগম বলেন, তিনি একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন। সকাল আটটায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন। সন্ধ্যা ছয়টায় তাকে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় যে, মেয়ে বাড়ি ফিরে যায়নি। তার ভাসুর তৌহিদুল ইসলামসহ তিনজন রাতেই মেয়েকে উদ্ধার করতে রাজশাহীতে রওনা দেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বলেন, ‘মাইক্রোবাসটির সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। রাজশাহীর প্রতিটি চেকপোস্টে সাদা রঙের মাইক্রোবাসকে থামাতে বলা হয়েছে। পাশের জেলাগুলোতেও খবর পাঠানো হয়েছে।’ পালিয়ে আসা মেয়েটি তাদের হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।